গুগল ম্যাপ ব্যবহার করে সহজে পথ খোঁজার উপায়

আমার কোনো পথ খোঁজে পাইনা তখন সময় আমার চাই গুগল ম্যাপ ব্যবহার করার ভাবি তবে আমরা গুগল ম্যাপ ব্যবহার করে সহজে পথ খোঁজার উপায় কি কি তা জানি না তাই আজকে আমার দেখবো গুগল ম্যাপ ব্যবহার করে সহজে পথ খোঁজার উপায় গুলো কি কি তাই চলুন আমরা দেখি।
গুগল ম্যাপ ব্যবহার করে সহজে পথ খোঁজার উপায় গুলো জানতে এই ব্লগটা মনোযোগ দিয়ে পড়বেন তাহলে আপনি গুগল ম্যাপ ব্যবহার করে সহজে পথ খোঁজার উপায় জানতে পারবেন । তাহলে আমরা বেশি কথা না বলে আমরা মনোযো দিয়ে পথ খোঁজার নিয়ম দেখি চলুন ।

গুগল ম্যাপে পথ খোঁজার প্রথম কাজ

আমাদের প্রথমে গুগল ম্যাপ ওপেন করতে হবে । আমরা যদি ল্যাপটপে পথ খোঁজি তাহলে গুগল ম্যাপ ওয়েবসাইটে ওপেন করতে হবে গুগল ম্যাপ ওয়েবসাইট ওপেন করার পর আমাদের একটা সার্চ বার থাকবে সেই সার্চবারে আমাদের কোন এলাখায় যাব সেই জায়গার নাম সার্চ করুন তারপর আমাদের সার্চ বার কেমন থাকবে সেটা দেখুন এই জায়গায় আমাদের সেই জায়গার নাম সার্চ দিতে হবে ।
আমাদের সার্চবার এরকম থাকবে সেই সার্চবারে আমাদের সার্চ দিতে হবে আমরা কোথায় যেথে চাই । আমি ধরেন ঢাকা যাবো তার জন্য ্আমি সার্চ দিবো এখানে ঢাকা এখন দিতে হবে একটা কমা দিয়ে সেই এলাখার নাম দিতে হবে আমাদের যেমন আমি ঢাকার উত্তরাতে যাব আমি সার্চ দিবো এরকম ভাবে যে ঢাকা,উত্তরা এইরকম করে আমাদের সার্চ দিলে আমাদের সেই জায়গা দেখাবে । তারপর স্বয়ংক্রিয়ভাবে মানচিত্রে অবস্থান দেখাবে আমাদের কে তাই গুগল ম্যাপ ব্যবহার করে সহজে পথ খোঁজার উপায় গুলোর প্রথম হলো সার্চ করা সেই জায়গার নাম ।

দিকনির্দেশ ব্যবহার করা

গুগল ম্যাপ ব্যবহার করে সহজে পথ খুঁজতে চাইলে প্রথমেই Directions বা দিকনির্দেশ বাটনে ক্লিক করুন। তারপর আপনার যাত্রা শুরু হবে কোথা থেকে তা Start (শুরু) অংশে বসান এবং গন্তব্য কোথায় যাবে তা Destination (গন্তব্য) অংশে লিখুন। গুগল ম্যাপ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিভিন্ন রুট দেখাবে, যেমন দ্রুততম রুট, ট্রাফিক কম আছে এমন রুট বা সবচেয়ে ছোট দূরত্বের রুট। আপনি চাইলে এখানে যান চলাচলের ধরনও নির্বাচন করতে পারবেন—গাড়ি, বাইক, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট, হাঁটা বা সাইকেল। এইভাবে গুগল ম্যাপ ব্যবহার করে সহজে পথ খোঁজা যায় এবং ভয়েস নেভিগেশনের সাহায্যে ধাপে ধাপে গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব।
এছবির মধ্যে যে বাটনে চাপ দেয়ার কথা বলা হয়েছে এটা হলো আমাদের Directions বা দিকনির্দেশ এখন আমাদের এই বাটনে চাপ দেয়ার পর আমাদের আসবে উপরে কয়েকটা বাটনে থাকবে আমাদের জন্য এই বাটনগুলো হলো কার গাড়ি বাটনে চাপ দিলে Driving করে যেতে আমাদের কত সময় লাগবে আমাদের সেই জায়গা থেকে সেই জায়গায় আর যদি আমরা ট্রানজিট বাটনে চাপ দেই তাহলে আমাদের ট্রেনে যেতে কত সময় লাগবে সেটা দেখাবে আর হাটার বাটনে চাপ দিলে হেটে আর সাইকেল বাটনে চাপ দিলে আমাদের সাইকেল দিয়ে সেই জায়গায় যেতে কত সময় লাগবে সেটা দেখাবে ।
Choose a starting location, or click on the map এই বাটনে চাপ দিলে শুরুর স্থান বেছে নিন আসবে । এটারতে চাপ দিলে আমরা যে এলাখায় থেকে যে এলাখায় যেতে চাই সেটা এর রাস্তা দেখাবে । Choose a starting location, or click on the map এই সার্চ বারে আমাদের নিজের এলাখা দিবো আর নিচে দিবো আমরা যে জায়গায় যেতে চাই সেই জায়গা । তাহলে এইটার কাজ কি আমার জানতে পরলাম গুগল ম্যাপ ব্যবহার করে সহজে পথ খোঁজার উপায় গুলোর বিশেষ একটা উপায় হলো এটা । আমি একটু সহজ ভাষায় বলি তা হলো গুগল ম্যাপ ব্যবহার করে সহজে পথ খুঁজতে চাইলে আপনি যাত্রার ধরন অনুযায়ী মোড নির্বাচন করতে পারেন—যেমন গাড়ি, বাইক, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট, হাঁটা বা সাইকেল। প্রতিটি মোড অনুযায়ী গুগল ম্যাপ স্বয়ংক্রিয়ভাবে রুটের সময় এবং দূরত্ব দেখাবে, যাতে আপনি সহজে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন কোন পথ বা যানবাহন সবচেয়ে সুবিধাজনক। এইভাবে গুগল ম্যাপ ব্যবহার করে সহজে পথ খোঁজা যায় এবং যাত্রা পরিকল্পনা করা আরও সহজ হয়ে যায়। গুগল ম্যাপে “Traffic” অন করুন। ই ফিচার দিয়ে জানতে পারবেন কোন রাস্তা ব্যস্ত বা দ্রুত চলার উপযোগী।

ভয়েস নেভিগেশন ব্যবহার করা

আমি একটু এই বিষয় নিয়ে সহজ ভাষায় কথা বলি এই বিষয় বেশি গুরুত্বপূর্ণ না তবে জানা থাকা ভালো । গুগল ম্যাপ ব্যবহার করে সহজে পথ খোঁজার অন্যতম সুবিধা হলো ভয়েস নেভিগেশন, যা মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য বিশেষভাবে সহায়ক। ভয়েস নেভিগেশন চালু করতে প্রথমে শুরু ও গন্তব্য ঠিকানা বসিয়ে “Start” বাটনে চাপ দিন, এরপর গুগল ম্যাপ স্বয়ংক্রিয়ভাবে ধাপে ধাপে নির্দেশনা দিতে শুরু করবে। এটি দেখায় কখন বাঁকা নিতে হবে, কখন সোজা যেতে হবে, কোন রাস্তা ব্যস্ত বা বন্ধ রয়েছে এবং পৌঁছানোর সম্ভাব্য সময়। এছাড়াও, রাস্তায় পরিবর্তন বা ট্রাফিকের কারণে গুগল স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিকল্প রুট সাজায়, যাতে যাত্রা দ্রুত ও নিরাপদ হয়। মোবাইলে ভয়েস শুনে রাস্তা অনুসরণ করলে চোখ এবং হাত নিরাপদ থাকে, গাড়ি, বাইক, হাঁটা বা সাইকেল চালানোর সময় সুবিধাজনক হয়। শুধু নেটওয়ার্ক এবং GPS সক্রিয় রাখলেই নির্দেশনাগুলো নির্ভুলভাবে পাওয়া যায়, এবং ভাষা বা ভয়েস পরিবর্তন করে নিজের সুবিধামত ব্যবহার করা যায়। তাই গুগল ম্যাপ ব্যবহার করে সহজে পথ খোঁজা যায় এবং ভয়েস নেভিগেশনের মাধ্যমে যাত্রা আরও সুবিধাজনক ও নিরাপদ হয়ে ওঠে ।

লোকেশন সেভ করা

আমাদের এই বিষয়টা অনেক অনেক বেশি কাজের একটা বিষয় আমি একটু ভালো করে বুৃঝিয়ে বুলি । গুগল ম্যাপ ব্যবহার করে সহজে পথ খোঁজার একটি গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা হলো সেভ করা লোকেেশন বা ফেভারিট প্লেস, যা বারবার যাওয়া যায় এমন স্থানগুলোকে সহজে মনে রাখার সুযোগ দেয়। আপনি যখন কোনো স্থানে যান, যেমন অফিস, স্কুল, বন্ধু বা পরিবারের বাড়ি, বা প্রিয় দোকান বা রেস্টুরেন্ট, তখন সেই অবস্থানকে গুগল ম্যাপে “Save” বাটন ব্যবহার করে সংরক্ষণ করতে পারেন। একবার সেভ করলে, ভবিষ্যতে সেই স্থানের জন্য নতুন করে ঠিকানা খুঁজতে হবে না; গুগল ম্যাপ স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার প্রেফারেন্স অনুযায়ী রুট সাজাবে এবং দ্রুত নেভিগেশন সুবিধা প্রদান করবে। ফেভারিট প্লেসে আপনি বিভিন্ন লেবেলও দিতে পারেন যেমন “Home”, “Work”, বা নিজের মতো নাম, যাতে সেগুলো দ্রুত খুঁজে পাওয়া যায়। এছাড়াও, সেভ করা লোকেেশন ব্যবহার করে গুগল ম্যাপ আপনাকে ট্রাফিক, সম্ভাব্য সময় এবং বিকল্প রুটও দেখাতে পারে, যা যাত্রাকে আরও দ্রুত, নিরাপদ এবং সুবিধাজনক করে তোলে। মোবাইল বা ডেস্কটপ উভয়েই এই ফিচার ব্যবহার করা যায়, এবং আপনি চাইলে অফলাইনে সংরক্ষিত এলাকা ব্যবহার করে ইন্টারনেট না থাকলেও নেভিগেশন চালাতে পারবেন। সেভ করা লোকেেশন শুধু ব্যক্তিগত সুবিধা নয়, এটি পরিকল্পিত যাত্রা, সময় বাঁচানো এবং জরুরি অবস্থায় দ্রুত পৌঁছানোর জন্য অত্যন্ত কার্যকর। ফলে, গুগল ম্যাপ ব্যবহার করে সহজে পথ খোঁজা যায়, এবং সেভ করা লোকেেশন ফিচার ব্যবহার করলে আপনার দৈনন্দিন যাত্রা আরও স্মার্ট, সময়োপযোগী এবং ঝামেলামুক্ত হয়।

অফলাইন ম্যাপ ডাউনলোড করে রাখা

আমাদের মোবাইলে নেট সব সময় থাকে তাই আমরা এই বিষয় গুরুত্ব আমি বলি । গুগল ম্যাপ ব্যবহার করে সহজে পথ খোঁজার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা হলো অফলাইন ম্যাপ ডাউনলোড করা, যা বিশেষভাবে দরকার হয় এমন সময় যখন আপনার কাছে ইন্টারনেট সংযোগ নেই বা নেটওয়ার্ক দুর্বল। এই ফিচারের মাধ্যমে আপনি যাত্রার জন্য প্রয়োজনীয় এলাকা আগে থেকে ডাউনলোড করে রাখতে পারেন এবং পরে ইন্টারনেট ছাড়াই নেভিগেশন করতে পারবেন। মোবাইলে গুগল ম্যাপ অ্যাপ খুলে “Offline maps” মেনুতে যান, তারপর সেই এলাকা নির্বাচন করুন যা আপনি ডাউনলোড করতে চান। একবার এলাকা ডাউনলোড হয়ে গেলে, গুগল ম্যাপ সেই ম্যাপ ব্যবহার করে রুট দেখাবে, ট্রাফিক নির্দেশনা দেবে এবং বিভিন্ন মোডে—গাড়ি, বাইক, হাঁটা বা সাইকেল—যাত্রা পরিকল্পনা সহজ করবে। অফলাইন ম্যাপ ব্যবহার করে আপনি আপনার গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য নেটওয়ার্কের ওপর নির্ভরশীল থাকবেন না, এবং যাত্রা আরও নির্ভরযোগ্য ও নিরাপদ হবে। এছাড়াও, বড় শহর বা অচেনা এলাকায় ঘুরে বেড়ানোর সময় অফলাইন ম্যাপ বিশেষভাবে কার্যকর, কারণ এটি রাস্তাঘাট, গুরুত্বপূর্ণ স্থান এবং রাস্তার বিকল্প রুটগুলো ঠিকভাবে দেখায়। সঠিক এলাকা ডাউনলোড করা থাকলে, গুগল ম্যাপ স্বয়ংক্রিয়ভাবে রুট নির্দেশনা প্রদান করবে, আপনাকে ট্রাফিক জ্যাম বা পথ পরিবর্তনের বিষয়ে আপডেট রাখবে এবং যাত্রাকে সহজ করবে।

আবার দেখুন ছোট করে ও আবার পড়ুন এটা থেকে:আমাদের গুগল ম্যাপ ব্যবহার করে সহজে পথ খোঁজার উপায় গুলো ভালো করে জানা হলো । তাহলে আপনার যাত্রা শুভ হক আশা করি । আমি একটা কথা জোরগলায় বলতে পারি এই ব্লগটা পড়ার পর আপনি গুগল ম্যাপ এর সব জেনে গেছেন । গুগল ম্যাপ ব্যবহার করে সহজে পথ খোঁজার উপায় গুলো সব দিয়েছি । এখন আপনি গুগল ম্যাপ নিয়ে আর কোনো সমস্যা হবে না । আজকে এতটুকু আশা করি আপনি ভালো থাকবেন আমিও ভালো থাকবো আজ আসি সালাম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

Next Post Previous Post
No Comment
কমেন্ট বা মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জাহি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।

comment url