রাতে তারাতারি ঘুমানোর উপায়
আমার কম বেশি সবাইর রাতে ঘুম হয় না । আমার জানতে চাই রাতে তারাতারি ঘুমানোর উপায় কি তা যদি জানতে পারতাম তাহলে আমাদের ভালো হতো । তাই আজকে দেখব আমরা সবাই রাতে তারাতারি ঘুমানোর উপায় কি কি তা জানব । তাহলে আর বেশি কথা না বলে উপায়গুলো দেখব তবে এটা মনোযোগ দিয়ে পড়বেন ।
রাতে তারাতারি ঘুমানোর উপায় গুলো জানার আগে আমি আবার বলছি আপনি এইটার ফলটা মনোযোগ দিয়ে পড়বেন নাহলে আমরা অনেক কিছু মিস করবো । তাই হলে আমরা রাতে তারাতারি ঘুমানোর উপায় গুলো দেখি । আমাদের অনেক সময় লাগবে এটা পড়তে তাই মনোযোগ দিয়ে পড়বেন । তাহলে আমরা শুরু করি আমাদের এটা রাতে তারাতারি ঘুমানোর উপায় গুলো জানতে ।
সূচিপত্র:আপনাদের রাতে তারাতারি ঘুমানোর উপায় গুলো জানতে অনেক সময় লাগবে তাই অনেকই সময় কম তাই এই সূচিপত্র থেকে পড়তে পারেন । রাতে তারাতারি ঘুমানোর উপায় গুলো শুরু করি চলুন আমার প্রিয় বড় ভাই বোন চলুন শুরু করি ।
তারাতরি ঘুমানোর জন্য প্রথম কাজ
আমাদের প্রথম কাজ হলো একটা রুটিন করা । আমি আপনার ভালো করে বুঝিয়ে বলছি আমরা একদিন ১০টায় ঘুমাই তবে এরপরের দিন ৮টায় ঘুমাই তাহলে আমাদের মস্তিস্ক ঠিক করতে পারে না আমরা কোন সময় ঘুমাতে হবে । তাই আমাদের একটা ঠিক টাইম ঠিক করতে হবে আমরা কয় টায় ঘুমাবো । আমি একটা সুন্দর ও ভালো ঘুমানোর টাইম বলি তা হলো আমরা ১০টা ৩০ এর মধ্যে ঘুমিয়ে যাব তবে আমাদের ঘুমাতে ঘুমাতে ১১টা বাজতে পারে আর আমরা উঠবো ভোর ৫টায় । আমার মতে এইটা অনেক ভালো একটা টাইম ঘুমানোর জন্য । এই রুটিন টারও রাতে তারাতারি ঘুমানোর উপায় গুলোর মধ্যে একটা । আমাদের প্রথম কাজ হলো একটা ঠিক টাইম বাচাই করা ঘুমানোর জন্য । আমি এটা ভালো টাইম বলেছি ।
ঘুমের আগে স্ক্রিন ব্যবহার কমনো
রাতে তারাতারি ঘুমানোর জন্য ঘুমের আগে স্ক্রিন ব্যবহার কমানো খুবই জরুরি, কারণ মোবাইল, কম্পিউটার বা টিভি থেকে আসা নীল আলো মস্তিষ্ককে দিনের আলো মনে করায়, এতে মেলাটোনিন নামের ঘুমের হরমোন কমে যায় এবং ঘুম আসতে দেরি হয়। আবার সোশ্যাল মিডিয়া, ভিডিও বা গেম খেলার ফলে মস্তিষ্ক উত্তেজিত থাকে, মন শান্ত হতে পারে না। এর সঙ্গে খবর, নোটিফিকেশন বা কাজের মেসেজ স্ট্রেস ও উদ্বেগ বাড়ায়, যা ঘুমে বাধা দেয়। এমনকি ঘুম এলেও সেটা হালকা হয়, বারবার ভেঙে যায়, ফলে সকালে ক্লান্তি নিয়ে উঠতে হয়। আমাদের আরো স্ক্রিন ব্যবহার চারাও আরো কিছু থেকে আমাদের আরালে থাকবে হবে আমরা যখন ঘুমানোর জন্য যাব তার ১০মিনিট আগেও হলে আমার কোর আলো ও লাইটের থিকে বেশি থাকাবো না । রাতে তারাতারি ঘুমানোর উপায় গুলোর মধ্যে একটা হলো স্ক্রিন ব্যবহার কমানো । তাহলে তো আমরা বুজতে পারলাম স্ক্রিন ব্যবহার কমানো বেশি গুরুত্বপূর্ণ কেন তা জানলেন ।
শরীর ও মনকে রিল্যাক্স রাখা
আমরা অনেকই ঘুমানোর আগে অনেক উতেচনা থাকে । তাই আমাদের ঘুম আসে না আমাদের ঘুমানোর আগে শরীর ও মনকে রিল্যাক্স রাখবেন । শরীর ও মনকে রিল্যাক্স রাখার জন্য অনেক বিষয় মানতে পারেন যেমন সুন্দর গল্প এর বই পড়তে পারি । আমরা যখন বই পড়ি তাহলে আমাদের মনে একটা শান্তি আসে তখন সময় বই পড়ার সময় আপনা ঘুমানোর চেষ্টা করবেন । তবে আমরা বই পড়ার সময় লাইটের ঠিকে তাকিয়ে বই পড়বো না আমরা টেবিল লাইটের সামনে পড়ার চেষ্টা করবো তাহলো আমাদের চোখে আলাটা আসবে না । তবে আমাদের অনেকই বই পড়তে সমস্যা হয় তাই আমরা নিরব শান্তির সুন্দর দেখে একটা গান শুতে পারি তাহলে আমাদের গানের দিকে মনোযোগ যাবে তখন সময় আমাদের শরীর ও মনকে রিল্যাক্স লাগবে আমাদের গানের মাঝে ঘুম আসবে ও আমাদের গানের টাইম ১০ থেকে ৩০ মিনিট রাখবেন আর গানটা অডিও শুনবেন নাহলে আপনার গান শুনার সময় ঘুম আসবে তাহলে আমাদের এই গানটা শুদু বাজবেই । আমি একটা গান বলছি না আপনি দেখে থাকবেন একটা ভিডিও তে অনেক গান দেয় সেইটা অডিও ডাউনলোড করে শুনবেন । রাতে তারাতারি ঘুমানোর উপায় গুলোর মধ্যে রিল্যাক্স থাকা এটা উপায় ।
ভারী খাবার এড়িয়ে চলা
আমরা বিকালে বা রাতে অনেকেই চা, কফি, কোক বা এনার্জি ড্রিঙ্ক খাই । তার ফলে আমাদের শরিলে অনেক মেকেইছ কমে তার ফলে আমাদের অশান্তি লাগে । তাই আমাদের ঘুমানোর জন্য অনেক অসুবিদা হয় । তাই আমরা চা, কফি, কোক বা এনার্জি ড্রিঙ্ক খাবার থেকে এড়িয়ে চলব । তার ফলে আমাদের ঘুমানোর আগে শান্তি লাগবে । আমরা কম বেশি সবাই জানি মনে যদি শান্তি লাগে তাহলে আমাদের এমনেতেই ঘুম আসে । তাই আমাদের ভারী খাবার থেকে এড়িয়ে চলবো । রাতে তারাতারি ঘুমানোর উপায় গুলোর মধ্যে অনেক বেশি এটা উপায় হলো এটা তার ফলে আমাদের আরো রাতে শান্তি আনে ভারী খাবার খেলে আমাদের শান্তি আসবে না আমাদের ঘুমানোর পাশাপাশি অশান্তির জন্য আমাদের যে কাজে করতে চাইবো এটাতে মন বসবে না ।
ঘুমের পরিবেশ ঠিক করা
আমাদের ঘমের জন্য বেশি একটা কাজ হলো ঘুমের পরিবেশ ঠিক করা । আমার কিভাবে পরিবেশ ঠিক করবো তা আমি বলি আমরা রাস্তার ধারে আপনার বাসা হলে আমাদের জানালায় ও দরজায় পর্দা দিবো । তার ফলে আমাদের রুমে কোনো শব্দ আসবে না । আমাদের বেশি ঠান্ডা বা বেশি গরব জায়গায় ঘুমাবো না তার ফলে আমাদের ঘুমাতে অনেক অসুবিদা হবে যেমন আপনার মনটা শুদু সেইগুলো ভাবতে থাকবে । তাই আমরা একটা এমন জায়গা বাচাই করব যে জায়গায় রুম ঠান্ডা, শান্ত এবং অন্ধকার রাখুন। নরম বালিশ, আরামদায়ক বিছানা ব্যবহার করবেন । এই রকম জায়গা আমরা বাচাই করলে আমাদের ঘুমাতে অনেক ভালো লাগবে তাই আমাদের জন্য এমন জায়গা চাই যে জায়গা রুম ঠান্ডা, শান্ত এবং অন্ধকার রাখুন। নরম বালিশ, আরামদায়ক বিছানা এরকম জায়গা । রাতে তারাতারি ঘুমানোর উপায় গুলোর মধ্যে এটাও একটা উপায়।
ঘুমানোর শরীরচর্চা
রাতে তারাতারি ঘুমানোর জন্য শরীরচর্চা একটি ভালো অভ্যাস, কারণ নিয়মিত হালকা ব্যায়াম বা হাঁটা শরীরকে ক্লান্ত করে এবং ঘুম দ্রুত আনতে সাহায্য করে, তবে ঘুমানোর একেবারে আগে করলে উল্টো মস্তিষ্ক সক্রিয় হয়ে যায়। আবার যদি সঠিকভাবে বিশ্রাম না হয় তবে ঘুম এলেও তা গভীর হয় না, বারবার ভেঙে যেতে পারে, যার ফলে সকালে ক্লান্তি নিয়ে উঠতে হয়। তাই আমাদের শরীরচর্চা টা অনেক অনেক বেশি ভালো । আমাদের এটার বিশেষ এটা হলো শরীরচর্চা । আমাদের শরীরচর্চা যত ভালো করব আমাদের ভালো লাগবে । শরীরচর্চা হলো রাতে তারাতারি ঘুমানোর বিশেষ উপায় । আমাদের জানাবেন কারা কারা শরীরচর্চা করেন ।
দিনে ঘুম কমানো
রাতে তারাতারি ঘুমানোর জন্য দিনের ঘুম কমানো একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, কারণ দিনের বেলা বিশেষ করে দুপুরে যদি আপনি অনেকক্ষণ ঘুমান তবে শরীরের প্রাকৃতিক ঘুমের ছন্দ বা বায়োলজিক্যাল ক্লক নষ্ট হয়ে যায়। সাধারণত আমাদের শরীর এক ধরনের সময়সূচি মেনে চলে, যেটা ঠিক করে কখন শরীর ক্লান্ত হবে আর কখন বিশ্রাম দরকার হবে। কিন্তু দুপুরে যদি ১–২ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ঘুমানো হয়, তাহলে শরীর সেই ক্লান্তি মুছে ফেলে এবং রাতে বিছানায় গেলেও ঘুম আসতে চায় না। এতে একদিকে রাতের ঘুমের সময় কমে যায়, অন্যদিকে ঘুমের মানও খারাপ হয়ে যায়। অনেক সময় দেখা যায়, যারা দুপুরে নিয়মিত লম্বা সময় ঘুমায়, তারা রাতে বিছানায় গেলেও এপাশ-ওপাশ করে অনেকক্ষণ জেগে থাকে, কখনো আবার গভীর ঘুম আসলেও সেটা মাঝেমধ্যে ভেঙে যায়। ফলে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর শরীর ক্লান্ত থাকে, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায় এবং সারাদিন কাজে মনোযোগ দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।তবে দিনের ঘুম একেবারেই খারাপ নয়—যদি সেটা সীমিত সময়ের মধ্যে রাখা যায়। যেমন, দুপুরে ২০ থেকে ৩০ মিনিটের পাওয়ার ন্যাপ শরীর ও মস্তিষ্ককে রিফ্রেশ করে, মনোযোগ বাড়ায় এবং পরিশ্রমের ক্লান্তি কমায়। কিন্তু সেটা এক ঘণ্টার বেশি হলে শরীর গভীর ঘুমে চলে যায় এবং জেগে ওঠার পর ঝিম ধরা অনুভূতি হয়, যা রাতের ঘুমকে আরও ব্যাহত করে। তাই দিনের ঘুমকে ছোট এবং সময়মতো সীমাবদ্ধ রাখা জরুরি। এভাবে করলে রাতের ঘুমের সময় শরীর প্রকৃত ক্লান্তি অনুভব করবে এবং সহজেই দ্রুত ঘুমিয়ে পড়া সম্ভব হবে।
আপনি চাইলে আমি আপনার জন্য একটা দৈনিক ঘুম ও বিশ্রামের টাইম-টেবিল সাজিয়ে দিতে পারি, যেটা মেনে চললে রাতে সহজেই ঘুম আসবে। চাইবেন কি আমি সেটা বানিয়ে দিই? এগুলো আমাদের জন্য অনেক বেশি কাজে আসে ।
দীর্ঘদিন ঘুম না আসলে আমরা কি করব
আমাদের অনেকের অনেক দিন ঘুম আসে না এমন সময় আমরা অনেক সমস্যায় পড়ি । আমাদের যদি অনেক দিন ঘুম না আসে তাহলে আমি বেশি কথা বলব না একটা কথাই বলবো আপনি ডাক্তার দেখান । আমাদের অনেক সময় ঘুম না আসার করণ হতে পারে আপনার এটা রোগ হচ্ছে বা আছে তাই আপনাকে এটা ভালো ডাক্তার দেখানোটা ভালো । আরো আছে আপনার অশান্তির কারণেও আমাদের ঘুম নাও আসতে পারে । তাই চলুন আমা এই ব্লগটা আবার পড়ি তাহলে আমরা যাদের অশান্তির জন্য ঘুম আসেনা তারা বুজবেন কি কি করলে আপনাদের তারাতারি ঘুম আসবে ।
আমরা দেখলাম রাতে তারাতারি ঘুমানোর উপায় গুলো কি কি আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে । আপনারদের এটা পড়তে কত সময় লেগেছে তা জানাবেন । আনাদের ঘুম আসবে আশা করি এখন । আজকে আমি আশি আপনি তারাতারি ঘুমান । আপনাদের আজকে ঘুম কেমন হয়েছিল তা জানাবেন আর আজকে ঘুমানোর পর কালকের ঘুম কেমন হয়েছে জানাতে বুলবেন না আসি আজ সালাম রইল আপনাদের জন্য ।
জাহি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।
comment url