কম্পিউটার বা স্মার্টফোন স্ক্রিন থেকে ঠিক কত দূরত্বে বসবেন
আজকে আমরা দেখব কম্পিউটার বা স্মার্টফোন স্ক্রিন থেকে ঠিক কত দূরত্বে বসবেন । আপনি যদি ঠিক করে বসেন তাহলে আপনার বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে তাই ঠিক করে কত দূরে বসবেন তা জানবেন আজকে এই আর্টিকেলে । আপনাদের মোবাইল ও কম্পিউটার এ কত দূরে বসবেন তা জানবেন ।
আমাদের সব সময় একটা প্রশ্ন থাকে যে কম্পিউটার বা স্মার্টফোন স্ক্রিন থেকে ঠিক কত দূরত্বে বসবো । তাই আজকে আমরা দেখব মোবাইল ও কম্পিউটারের কত দূরে বসবো তাহলে আমাদের কোনো সমস্যা হবে না । আমাদের এই প্রশ্ন এর উত্তর দিব যে কম্পিউটার বা স্মার্টফোন স্ক্রিন থেকে ঠিক কত দূরত্বে বসবো তাই আজকের এই ব্লগটা অনেক বেশি কাজের তাই মনোযেগ দিয়ে দেখবেন বা পড়বেন । তহলে আর বেশি কথা না বলে কম্পিউটার বা স্মার্টফোন স্ক্রিন থেকে ঠিক কত দূরত্বে বসবেন তা জানি চলুন ।
সূচিপত্র:আমাদের বেশি সময় থাকে না তাই আমরা তারাতরি করে পড়ি তবে আমরা কিছু বুজতে পারি না তাই সূচিপত্র থেকে কোথায় পড়বেন সেটা বেচে নিন তাহলে আপনার যে জায়গা বেশি প্রয়োজনীয় সেই জায়গায় যেতে পারবেন তাহলে আপনার হতে কম সময় থকলেও আপনি বুজতে পারবেন।
কেন স্ক্রিন থেকে দূরত্ব গুরুত্বপূর্ণ?
কেন স্ক্রিন থেকে দূরত্ব গুরুত্বপূর্ণ তা বোঝার জন্য আগে ভাবতে হবে আমাদের চোখ কীভাবে কাজ করে। যখন আমরা কম্পিউটার বা স্মার্টফোন স্ক্রিনের খুব কাছাকাছি বসি, তখন চোখকে বেশি ফোকাস করতে হয়, ফলে চোখে অতিরিক্ত চাপ পড়ে, চোখ শুকিয়ে যায়, ঝাপসা দেখা শুরু হয় এমনকি মাথাব্যথা ও ঘাড়ব্যথাও হতে পারে। দীর্ঘ সময় এভাবে বসে থাকলে চোখের দৃষ্টিশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তাই কম্পিউটার বা স্মার্টফোন স্ক্রিন থেকে ঠিক কত দূরত্বে বসবেন এটা জানা অত্যন্ত জরুরি, কারণ সঠিক দূরত্ব বজায় রাখলে চোখ স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারে এবং ক্লান্তি কম হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, কম্পিউটার বা স্মার্টফোন স্ক্রিন থেকে ঠিক কত দূরত্বে বসবেন সেটা মেনে চললে শুধু চোখ নয়, আপনার ভঙ্গি, মনোযোগ এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যেরও উন্নতি হয়।
কম্পিউটার স্ক্রিন থেকে ঠিক কত দূরত্বে বসবেন
কম্পিউটার স্ক্রিন ব্যবহার করার সময় চোখের সুরক্ষা এবং আরামের জন্য সঠিক দূরত্ব এবং স্ক্রিনের অবস্থান বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। অনেক সময় আমরা স্ক্রিনের খুব কাছে বসে কাজ করি বা স্ক্রিনকে খুব নিচে বা উপরে রেখে কাজ করি, যার ফলে চোখের পেশিগুলো অতিরিক্ত চাপের মুখোমুখি হয়, চোখ দ্রুত ক্লান্ত হয়, ঝাপসা দেখা দেয় এবং চোখ শুষ্ক হয়ে যায়; দীর্ঘ সময় এমন অবস্থায় বসলে দৃষ্টিশক্তিতেও ক্ষতি হতে পারে। শুধু চোখ নয়, ভুল দূরত্বে বসার কারণে ঘাড়, কাঁধ এবং কোমরেও চাপ পড়ে, যা দীর্ঘমেয়াদে শারীরিক সমস্যার কারণ হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, কম্পিউটার বা স্মার্টফোন স্ক্রিন থেকে ঠিক কত দূরত্বে বসবেন তা মেনে চলা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ ব্যবহারের সময় চোখ থেকে স্ক্রিনের দূরত্ব সাধারণভাবে ২০–৩০ ইঞ্চি (৫০–৭৫ সেমি) হওয়া উচিত, যা প্রায় এক হাত লম্বার সমান। স্ক্রিনের উপরের অংশ চোখের সমান বা সামান্য নিচে রাখা উচিত, যাতে চোখ স্বাভাবিকভাবে তাকাতে পারে এবং ঘাড় বা কাঁধে অতিরিক্ত চাপ না পড়ে। সঠিক দূরত্ব এবং উচ্চতা বজায় রাখলে চোখে চাপ কম থাকে, চোখ সুস্থ থাকে, মনোযোগ বাড়ে এবং দীর্ঘ সময় কাজ করলেও কোনো সমস্যা হয় না, তাই কম্পিউটার বা স্মার্টফোন স্ক্রিন থেকে ঠিক কত দূরত্বে বসবেন বিষয়টি মাথায় রেখে বসার ভঙ্গি ঠিক করা প্রতিদিনের কাজের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মোবাইল ও ট্যাব এর স্ক্রিন থেকে ঠিক কত দূরত্বে বসবেন
স্মার্টফোন বা ট্যাবলেট ব্যবহার করার সময় চোখের সুরক্ষা এবং আরামের জন্য সঠিক দূরত্ব বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় আমরা এগুলো খুব কাছ থেকে ধরে ব্যবহার করি বা শোয়া অবস্থায় হাতে ধরে স্ক্রিনের দিকে তাকাই, যা চোখের পেশিতে অতিরিক্ত চাপ তৈরি করে, চোখ দ্রুত ক্লান্ত হয়, ঝাপসা দেখা দেয় এবং চোখ শুষ্ক হয়ে যায়; দীর্ঘমেয়াদে এমন অভ্যাস দৃষ্টিশক্তি কমিয়ে দিতে পারে। বিশেষ করে শোয়া অবস্থায় ব্যবহার করলে ঘাড় এবং ঘাড়ের পেশিতেও চাপ পড়ে এবং চোখ স্বাভাবিকভাবে স্ক্রিনের দিকে তাকাতে পারে না, ফলে চোখের আরাম নষ্ট হয়। তাই বিশেষজ্ঞরা বলেন, কম্পিউটার বা স্মার্টফোন স্ক্রিন থেকে ঠিক কত দূরত্বে বসবেন তা মেনে চলা খুবই জরুরি। স্মার্টফোন বা ট্যাবলেটের জন্য চোখ থেকে স্ক্রিনের দূরত্ব সাধারণভাবে প্রায় ১৬–১৮ ইঞ্চি (৪০–৪৫ সেমি) রাখা উচিত, যাতে চোখ স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারে এবং দীর্ঘ সময় ব্যবহারের পরও ক্লান্তি কম হয়। সঠিক দূরত্ব বজায় রাখলে চোখ সুস্থ থাকে, মনোযোগ বাড়ে এবং শারীরিক চাপও কমে, তাই কম্পিউটার বা স্মার্টফোন স্ক্রিন থেকে ঠিক কত দূরত্বে বসবেন বিষয়টি মাথায় রেখে ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সঠিক দূরত্ব বজায় রাখার উপায়
স্ক্রিন ব্যবহার করার সময় চোখকে স্বস্তি দিতে এবং সঠিক দূরত্ব বজায় রাখতে কিছু কার্যকর উপায় অনুসরণ করা উচিত। সবচেয়ে সহজ ও জনপ্রিয় হলো ২০-২০-২০ রুল, যেখানে প্রতি ২০ মিনিট পর ২০ সেকেন্ডের জন্য ২০ ফুট দূরে তাকানো হয়, যা চোখের পেশিকে বিশ্রাম দেয় এবং ক্লান্তি কমায়। এছাড়া, সঠিক চেয়ার এবং টেবিল ব্যবহার করা খুব জরুরি, যাতে স্ক্রিন চোখের সমান বা সামান্য নিচে থাকে এবং ঘাড় বা কাঁধে চাপ না পড়ে। স্ক্রিনের আলো ও ব্রাইটনেস ঠিক রাখাও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ অতিরিক্ত উজ্জ্বল বা কম আলো চোখকে ক্লান্ত করে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, কম্পিউটার বা স্মার্টফোন স্ক্রিন থেকে ঠিক কত দূরত্বে বসবেন তা মেনে চললে এসব নিয়ম আরও কার্যকর হয়; যথাযথ দূরত্ব বজায় রাখলে চোখ স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারে, ক্লান্তি কমে এবং দীর্ঘ সময় স্ক্রিন ব্যবহার করলেও চোখ সুস্থ থাকে।
চোখের সুরক্ষায় করণীয়
চোখের সুরক্ষা বজায় রাখতে স্ক্রিন ব্যবহার করার সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। প্রথমে, ব্লু-লাইট ফিল্টার ব্যবহার করলে কম্পিউটার বা স্মার্টফোন থেকে নিঃসৃত ক্ষতিকর নীল আলো কমে যায়, যা চোখের ক্লান্তি কমায় এবং দৃষ্টিশক্তি রক্ষা করে। ফন্ট সাইজ এমনভাবে ঠিক রাখা প্রয়োজন যাতে চোখকে অতিরিক্ত কুঁচকাতে না হয় এবং স্বাভাবিকভাবে পড়া সম্ভব হয়, এতে চোখের পেশি সহজে ক্লান্ত হয় না। পাশাপাশি নিয়মিত চোখের ব্যায়াম করা এবং ছোট ছোট বিরতি নেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ, যা চোখকে বিশ্রাম দেয় এবং দীর্ঘ সময় স্ক্রিন ব্যবহার করলেও চোখের সুস্থতা বজায় রাখে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, কম্পিউটার বা স্মার্টফোন স্ক্রিন থেকে ঠিক কত দূরত্বে বসবেন তা মেনে চললে এই সব পদ্ধতি আরও কার্যকর হয়; যথাযথ দূরত্ব বজায় রাখলে চোখ স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারে, ক্লান্তি কমে এবং চোখের স্বাস্থ্য দীর্ঘ সময় ধরে রক্ষা করা যায়।
দীর্ঘ সময় স্ক্রিন ব্যবহারের ক্ষতি কি হয়
দীর্ঘ সময় স্ক্রিনের সামনে বসে থাকার কারণে চোখ এবং শরীরের ওপর বিভিন্ন ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে। সবচেয়ে সাধারণ সমস্যা হলো চোখ শুষ্ক হয়ে যাওয়া, কারণ স্ক্রিনের দিকে তাকাতে গিয়ে চোখ কম ব্লিঙ্ক করে এবং চোখের আর্দ্রতা কমে যায়। এছাড়া দীর্ঘ সময় কাজ করলে মাথাব্যথা এবং ঘাড় বা কাঁধে ব্যথা দেখা দিতে পারে, যা ভুল দূরত্ব এবং অসুস্থ বসার ভঙ্গির কারণে আরও বেড়ে যায়। দীর্ঘমেয়াদে নিয়মিত স্ক্রিন ব্যবহার দৃষ্টিশক্তি কমিয়ে দিতে পারে এবং চোখ ক্লান্ত হয়ে সহজে ঝাপসা দেখতে পারে। তাই বিশেষজ্ঞরা বলেন, কম্পিউটার বা স্মার্টফোন স্ক্রিন থেকে ঠিক কত দূরত্বে বসবেন তা মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ; সঠিক দূরত্ব বজায় রাখলে চোখ এবং শরীরের ওপর চাপ কম থাকে, চোখ স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারে এবং দীর্ঘ সময় স্ক্রিন ব্যবহার করলেও চোখের সুস্থতা ও দৃষ্টিশক্তি রক্ষা করা যায়।কি কি করলে ভালো হবে আপনার
চোখের স্বাস্থ্য রক্ষা ও স্ক্রিন ব্যবহারের ক্ষতিকর প্রভাব এড়িয়ে চলার জন্য বিশেষজ্ঞরা নিয়মিত নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দেন। তারা বলেন, শিশু ও কিশোরদের চোখ আরও সংবেদনশীল হওয়ায় তাদের জন্য স্ক্রিন ব্যবহার সীমিত করা এবং আরও সতর্ক থাকা প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞরা আরও বলেন, শিশুদের জন্য ফন্ট বড় রাখা, আলো সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা এবং বিরতিসহ স্ক্রিন ব্যবহার করা জরুরি। এছাড়া, কম্পিউটার বা স্মার্টফোন স্ক্রিন থেকে ঠিক কত দূরত্বে বসবেন তা মেনে চললে চোখের ক্লান্তি কমে, দৃষ্টিশক্তি সুস্থ থাকে এবং দীর্ঘমেয়াদে চোখের সমস্যা প্রতিরোধ করা যায়। সঠিক দূরত্ব এবং নিয়মিত বিরতি শিশু ও কিশোরদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, যাতে তারা নিরাপদভাবে এবং স্বস্তিপূর্ণভাবে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করতে পারে।
চোখের সুস্থতার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
সঠিক দূরত্ব বজায় রাখা চোখের সুস্থতার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। চোখের ক্লান্তি কমাতে, দৃষ্টিশক্তি রক্ষা করতে এবং শরীরের ভঙ্গি ঠিক রাখতে দৈনন্দিন কাজের সময় স্ক্রিন থেকে দূরত্ব ঠিক রাখা প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, কম্পিউটার বা স্মার্টফোন স্ক্রিন থেকে ঠিক কত দূরত্বে বসবেন তা মেনে চললে চোখ স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারে, দীর্ঘ সময় ব্যবহার করলেও ক্লান্তি কমে এবং দৃষ্টিশক্তি সুস্থ থাকে। সুস্থ চোখের জন্য সহজ নিয়ম হলো স্ক্রিনকে চোখের সমান বা সামান্য নিচে রাখা, যথাযথ দূরত্ব বজায় রাখা এবং মাঝে মাঝে চোখকে বিশ্রাম দেওয়া, যা দৈনন্দিন স্ক্রিন ব্যবহারের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে।আপনি তো জানতে পরলেন কম্পিউটার বা স্মার্টফোন স্ক্রিন থেকে ঠিক কত দূরত্বে বসবেন । আপনাদের এই ব্লগটা কেমন লেগেছে আমাদের জানা হলো আপনি মোবাইল ও কম্পিউটার ও ট্যাব এর কত দূরে বসবো তা জানতে পারলোম । আমরাদের চোখের ভালো কিভাবে রাখবো সেটাও জানতে পারলাম আজ আর কিছু বলব না আজকে আমি আসি সবাইকে জানাই সালাম আসি।
জাহি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।
comment url